১। ১. পূর্ণ বয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১২২ সে.মি.। ২. এ জাতের গাছের কান্ড শক্ত তাই গাছ লম্বা হলেও ঢলে পড়ে না। ৩. পাতা হালকা সবুজ, ডিগপাতা খাড়া এবং ব্রি ধান ৪৯ এর চেয়ে লম্বা ও প্রশস্ত। ৪. পাকার সময় কান্ড ও পাতা সবুজ থাকে বিধায় সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে ফলে শীষের গোড়ার ধানও পুষ্ট হয়। ৫. চালের আকার আকৃতি লম্বা ও চিকন, ভাত ঝরঝরে। ৬. ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৪.১ গ্রাম। ৭. এ ধানের অ্যামাইলোজ ২৭%।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজতলায় বীজ বপনঃ
: ০১ আষাঢ় থেকে ২৩ আষাঢ় (১৫ জুন- ০৭ জুলাই)
২ । চারার বয়স ও রোপন দূরত্বঃ
: ২৫-৩০ দিন বয়সী চারা ২৫×১৫ সে.মি. ব্যবধানে লাগাতে হবে।
৩ । চারার রোপন সময়ঃ
: ২৩ আষাঢ় থেকে ৩১ শ্রাবণ (০৭ জুলাই- ১৫ আগস্ট)
৪ । চারার সংখ্যাঃ
: প্রতি গোছায় ২-৩ টি করে।
৫ । সার ব্যবস্থাপনাঃ (কেজি/বিঘা)
: ইউরিয়া- ২৪ কেজি, টিএসপি- ১১ কেজি, এমওপি- ১৩ কেজি, জিপসাম- ০৯ কেজি, দস্তা (জিংক সালফেট)- ১.৬ কেজি।
৬ । আগাছা দমনঃ
: রোপনের ৩৫-৪০ দিন জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
৭ । সেচ ব্যবস্থাপনাঃ
: প্রয়োজন মাফিক সম্পূরক সেচ দিতে হবে।
৮ । রোগ বালাই ও পোকামাকড় দমনঃ
: এ জাতে রোগের আক্রমণ অন্যান্য জাতের তুলনায় কম। তবে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে অনুমোদিত বালাইনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
৯ । ফসল কাটাঃ
: ১০ কার্তিক থেকে ০১ অগ্রহায়ণ (২৫ অক্টোবর- ১৫ নভেম্বর) ধান কাটার উপযুক্ত সময়।