সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মাঠজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। চলতি মৌসুমের রোপা
আমন ধানের ক্ষতিকর পোকা নিধনে বিষের বিকল্প হিসেবে কৃষক ক্ষেতে পার্চিং
পদ্ধতি হিসাবে জীবন্ত ধঞ্চেগাছ-ডালপালা ও আলোর ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
ধান ক্ষেতের আইলে কোথাও পানি ভর্তি পাত্রে, কোথাও কাগজের উপড় আলো জ্বেলে
ধানে আক্রমণাত্মক বিভিন্ন পোকা ধরা হচ্ছে। কৃষকরা নিজেই জমিতে এই পোকাগুলোর
পরিমাণ দেখে ক্ষেতে পোকার আক্রমণের আগেই কোন ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে তা খুব
সহজেই নির্ধারণ করতে পারছেন।
কৃষকরা জানায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্ততর কর্তৃক এ ধরনের উদ্যোগ
গ্রহণের পর সফলতা আসায় ধান ক্ষেতে এসব পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ছে। ধান ক্ষেতের
প্রধান শক্র কারেন্ট, মাজরা, গান্ধি ও চুঙ্গি পোকাসহ বাদামী ঘাস ফড়িং নিধনে
জমিতে পাচিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
উপজেলার কামারগাঁ গ্রামের কৃষক বিজয় কুমার
প্রামানিক বলেন, ‘রোপা-আমন ধানের ক্ষেতে পার্চিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতিতে
কীটপতঙ্গ দমনে সুফল পাচ্ছি। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটা পরিবেশবান্ধব ও সহজলভ্য
পদ্ধতি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ২৩টি
ব্লকের মাধ্যমে চাষিদের ধানের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে এ পদ্ধতি ব্যাপকভাবে
ছড়িয়ে দিতে চাষি পর্যায়ে নিয়মিত কৃষক সভা, উঠান বৈঠক করা হচ্ছে। পাশাপাশি
তাদের তথ্য-পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ মৌসুমে উপজেলায় রোপা আমন
ধান চাষ করা হচ্ছে ২১ হাজার পাঁচশত ৮৫ হেক্টর জমিতে।’
উত্তর সমূহ